রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | |
---|---|
![]()
১৯১৫ সালে কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ
|
|
জন্ম | মে ৭, ১৮৬১ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) |
মৃত্যু | আগস্ট ৭, ১৯৪১ (৮০ বছর) জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) |
সমাধিস্থল | কলকাতা |
ছদ্মনাম | ভানুসিংহ ঠাকুর (ভণিতা) |
জীবিকা |
|
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
জাতি | বাঙালি |
নাগরিকত্ব | ![]() |
সময়কাল | বঙ্গীয় নবজাগরণ |
সাহিত্য আন্দোলন | প্রাসঙ্গিক আধুনিকতা |
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ | গীতাঞ্জলি (১৯১০), রবীন্দ্র রচনাবলী |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (১৯১৩) |
দাম্পত্যসঙ্গী | মৃণালিনী দেবী (বি. ১৮৭৩–১৯০২) |
আত্মীয় | ঠাকুর পরিবার |
স্বাক্ষর | ![]() |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১)[১] (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)[১] ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।[২] তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।[৩] রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়।[৪] রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ,[৫] ৩৮টি নাটক,[৬] ১৩টি উপন্যাস[৭] ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন[৮] তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প[৯] ও ১৯১৫টি গান[১০] যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে।[১১] রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত।[১২] এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন।[১৩] রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১৪]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১৫][১৬][১৭][১৮] বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।[১৯] আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।ক[›][২০] ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তাঁর "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা।[২১] ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।[২২] ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।[২২] ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন।[২২] ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।[২৩] ১৯০২ সালে তাঁর পত্নীবিয়োগ হয়।[২৩] ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।[২৩] ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন।[২৩] কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।[২৪] ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[২৫] ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।[২৬] দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।[২৫] ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তাঁর মৃত্যু হয়।[২৭]
রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।[২৮] রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।[২৯] ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।[৩০] কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন।[৩১] সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।[৩২] এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।[৩৩] রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন।[৩৪] সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।[৩৫] রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি।[৩৬] তাঁর রচিত আমার সোনার বাংলা ও জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত।[৩৭]
পরিচ্ছেদসমূহ
জীবন
প্রথম জীবন (১৮৬১–১৯০১)
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)
শৈশব ও কৈশোর (১৮৬১ - ১৮৭৮)
কিশোর রবীন্দ্রনাথ, ১৮৭৭; জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্কেচ অবলম্বনে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অঙ্কিত
১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২১] এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন।[২১] প্রথমে তাঁরা আসেন শান্তিনিকেতনে।[৫০] এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি পরিদর্শন করেন।[৫০] শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই (অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়।[৫০] এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন।[৫০] দেবেন্দ্রনাথ তাঁকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনী, কালিদাস রচিত ধ্রুপদি সংস্কৃত কাব্য ও নাটক এবং উপনিষদ্ পাঠেও উৎসাহিত করতেন।[৫১][৫২] ১৮৭৭ সালে ভারতী পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এগুলি হল মাইকেল মধুসূদনের "মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা", ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী এবং "ভিখারিণী" ও "করুণা" নামে দুটি গল্প। এর মধ্যে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই কবিতাগুলি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে "ভানুসিংহ" ভণিতায় রচিত।[৫৩] রবীন্দ্রনাথের "ভিখারিণী" গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প।[৫৪][৫৫] ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কবিকাহিনী।[৫৬] এছাড়া এই পর্বে তিনি রচনা করেছিলেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) কাব্যগ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।[৫৭]
যৌবন (১৮৭৮-১৯০১)
স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, ১৮৮৩
১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পন্ন হয়।[৬০] বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী (১৮৭৩–১৯০২ )।[৬০] রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর সন্তান ছিলেন পাঁচ জন: মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১), রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩), মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) এবং শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭)।[৬০] এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে।[৬১]
শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, বর্তমান চিত্র
১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের অপর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ মানসী প্রকাশিত হয়। কুড়ি থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তাঁর আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও গীতিসংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলি হলো প্রভাতসংগীত, শৈশবসঙ্গীত, রবিচ্ছায়া, কড়ি ও কোমল ইত্যাদি।[৬৪] ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের সম্পাদিত সাধনা পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশিত হয়। তাঁর সাহিত্যজীবনের এই পর্যায়টি তাই "সাধনা পর্যায়" নামে পরিচিত।[৪৪] রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ গ্রন্থের প্রথম চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই এই পর্যায়ের রচনা।[৫৪] এই ছোটগল্পগুলিতে তিনি বাংলার গ্রামীণ জনজীবনের এক আবেগময় ও শ্লেষাত্মক চিত্র এঁকেছিলেন।[৬৫]
মধ্য জীবন (১৯০১–১৯৩২)
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৯০১–১৯৩২)
১৯১২ সালে হ্যাম্পস্টেডে রবীন্দ্রনাথ; বন্ধু উইলিয়াম রোদেনস্টাইনের শিশুপুত্র জন রোদেনস্টাইন কর্তৃক গৃহীত ফটোগ্রাফ।
এসবের মধ্যেই ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন।[৭২] ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান আধুনিক কৃষি ও গোপালন বিদ্যা শেখার জন্য।[৭৩] ১৯০৭ সালে কনিষ্ঠা জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কেও কৃষিবিজ্ঞান শেখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[৭৪]
এই সময় শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ে অর্থসংকট তীব্র হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পুত্র ও জামাতার বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়ভারও রবীন্দ্রনাথকে বহন করতে হয়।[৭৪] এমতাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর গয়না ও পুরীর বসতবাড়িটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন।[৭৫]
ইতোমধ্যেই অবশ্য বাংলা ও বহির্বঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯০১ সালে নৈবেদ্য ও ১৯০৬ সালে খেয়া কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়।[৫][৭৬] ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি (ইংরেজি অনুবাদ, ১৯১২) কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে।গ[›][৭৭] ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে 'স্যার' উপাধি (নাইটহুড) দেয়।[৭৮]
১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনের অদূরে সুরুল গ্রামে মার্কিন কৃষি-অর্থনীতিবিদ লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনের আরও কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রের সহায়তায় রবীন্দ্রনাথ "পল্লীসংগঠন কেন্দ্র" নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[৭৯] এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতিসাধন, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা এবং সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি করা।[৭৯] ১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে রাখেন "শ্রীনিকেতন"।[৮০] শ্রীনিকেতন ছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রতীক ও প্রতিবাদসর্বস্ব স্বরাজ আন্দোলনের একটি বিকল্প ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীর আন্দোলনের পন্থা-বিরোধী ছিলেন।[৮১] পরবর্তীকালে দেশ ও বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ, দাতা ও অন্যান্য পদাধিকারীরা শ্রীনিকেতনের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন।[৮২][৮৩]
১৯৩০-এর দশকের প্রথম ভাগে একাধিক বক্তৃতা, গান ও কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় সমাজের বর্ণাশ্রম প্রথা ও অস্পৃশ্যতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।[৮৪][৮৫]
শেষ জীবন (১৯৩২-১৯৪১)
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৯৩২–১৯৪১)
১৯৩০ সালে বার্লিনে রবীন্দ্রনাথ
জীবনের এই পর্বে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্রতম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ বিহার প্রদেশে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুকে গান্ধীজি "ঈশ্বরের রোষ" বলে অভিহিত করলে, রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজির এহেন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেন এবং প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেন।[৯২] কলকাতার সাধারণ মানুষের আর্থিক দুরবস্থা ও ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক অবক্ষয় তাঁকে বিশেষভাবে বিচলিত করে তুলেছিল। গদ্যছন্দে রচিত একটি শত-পংক্তির কবিতায় তিনি এই ঘটনা চিত্রায়িতও করেছিলেন।[৯৩][৯৪]
জীবনের শেষ চার বছর ছিল তাঁর ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়।[৯৫] এই সময়ের মধ্যে দুইবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয়েছিল তাঁকে।[৯৫] ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির।[৯৫] সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি।[৯৫] এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে সৃজিত কিছু অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা।[৯৫][৯৬] মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন।[২৭] দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।[৯৭][৯৮]
বিশ্বভ্রমণ
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভ্রমণ
আইনস্টাইনের সঙ্গে, ১৯৩০
১৯২৭ সালে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়সহ চার সঙ্গীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে। এই সময় তিনি ভ্রমণ করেন বালি, জাভা, কুয়ালালামপুর, মালাক্কা, পেনাং, সিয়াম ও সিঙ্গাপুর।[১১৩] ১৯৩০ সালে কবি শেষবার ইংল্যান্ডে যান অক্সফোর্ডে হিবার্ট বক্তৃতা দেওয়ার জন্য।[৯৯] এরপর তিনি ভ্রমণ করেন ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।[১১৪][১১৫][১১৬] ১৯৩২ সালে ইরাক ও পারস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন কবি।[৯৯] এরপর ১৯৩৪ সালে সিংহলে যান রবীন্দ্রনাথ। এটিই ছিল তাঁর সর্বশেষ বিদেশ সফর।[১১৭][১১৮]
রবীন্দ্রনাথ যেসকল বইতে তাঁর বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলি লিপিবদ্ধ করে রাখেন সেগুলি হল: য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র (১৮৮১), য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি (১৮৯১, ১৮৯৩), জাপান-যাত্রী (১৯১৯), যাত্রী (পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি ও জাভা-যাত্রীর পত্র, ১৯২৯), রাশিয়ার চিঠি (১৯৩১), পারস্যে (১৯৩৬) ও পথের সঞ্চয় (১৯৩৯)।[৯৯] ব্যাপক বিশ্বভ্রমণের ফলে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সমসাময়িক অরিঁ বের্গসঁ, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ফ্রস্ট, টমাস মান, জর্জ বার্নার্ড শ, এইচ জি ওয়েলস, রোম্যাঁ রোলাঁ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলেন।[১১৯][১২০] জীবনের একেবারে শেষপর্বে পারস্য, ইরাক ও সিংহল ভ্রমণের সময় মানুষের পারস্পরিক ভেদাভেদ ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তাঁর বিতৃষ্ণা আরও তীব্র হয়েছিল মাত্র।[১২১] অন্যদিকে বিশ্বপরিক্রমার ফলে ভারতের বাইরে নিজের রচনাকে পরিচিত করে তোলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিনিময়ের সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি।[৯৯]
সৃষ্টিকর্ম
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মূলত এক কবি। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি
কাব্যরচনা শুরু করেন। তাঁর প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২। তবে
বাঙালি সমাজে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রধানত সংগীতস্রষ্টা হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ
প্রায় দুই হাজার গান লিখেছিলেন। কবিতা ও গান ছাড়াও তিনি ১৩টি উপন্যাস,
৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা রবীন্দ্র রচনাবলী নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত
হয়েছে। এছাড়া তাঁর সামগ্রিক চিঠিপত্র উনিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর
প্রবর্তিত নৃত্যশৈলী "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত।[১২২]কবিতা
কবির হস্তাক্ষরে কবিতা, হাঙ্গেরিতে লিখিত, ১৯২৬: বাংলা ও ইংরেজিতে
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মধ্যযুগীয় বৈষ্ণব পদাবলি, উপনিষদ্, কবীরের দোঁহাবলি, লালনের বাউল গান ও রামপ্রসাদ সেনের শাক্ত পদাবলি সাহিত্যের প্রভাব লক্ষিত হয়।[১২৫][১২৬][১২৭] তবে প্রাচীন সাহিত্যের দুরূহতার পরিবর্তে তিনি এক সহজ ও সরস কাব্যরচনার আঙ্গিক গ্রহণ করেছিলেন। আবার ১৯৩০-এর দশকে কিছু পরীক্ষামূলক লেখালেখির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা ও বাস্তবতাবোধের প্রাথমিক আবির্ভাব প্রসঙ্গে নিজ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছিলেন কবি।[১২৮] বহির্বিশ্বে তাঁর সর্বাপেক্ষা সুপরিচিত কাব্যগ্রন্থটি হল গীতাঞ্জলি। এ বইটির জন্যই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১২৯] নোবেল ফাউন্ডেশন তাঁর এই কাব্যগ্রন্থটিকে বর্ণনা করেছিল একটি "গভীরভাবে সংবেদনশীল, উজ্জ্বল ও সুন্দর কাব্যগ্রন্থ" রূপে।[১৩০]
ছোটগল্প
চিত্র:The Hero Illustration.jpg
১৯১৩ সালে ম্যাকমিলান প্রকাশিত দ্য ক্রেসেন্ট মুন (শিশু ভোলানাথ) অনুবাদগ্রন্থের দ্য হিরো (বীরপুরুষ) আখ্যানকবিতার নন্দলাল বসুকৃত অলংকরণ
রবীন্দ্রনাথ তাঁর গল্পে পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলি বা আধুনিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতেন। কখনও তিনি মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের বৌদ্ধিক বিশ্লেষণকেই গল্পে বেশি প্রাধান্য দিতেন।[১৩৫]
রবীন্দ্রনাথের একাধিক ছোটগল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র, নাটক ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। তাঁর গল্পের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রায়ণ হল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত তিন কন্যা ("মনিহারা", "পোস্টমাস্টার" ও "সমাপ্তি" অবলম্বনে)[১৩৬] ও চারুলতা ("নষ্টনীড়" অবলম্বনে) [১৩৭], তপন সিংহ পরিচালিত অতিথি, কাবুলিওয়ালা ও ক্ষুধিত পাষাণ[১৩৮], পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত স্ত্রীর পত্র[১৩৯] ইত্যাদি।
উপন্যাস
চোখের বালি উপন্যাসে দেখানো হয়েছে সমসাময়িককালে বিধবাদের জীবনের নানা সমস্যা।[১৩৩] নৌকাডুবি উপন্যাসটি আবার লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে।[১৩৩] গোরা রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।[১৩৩] এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের হিন্দু ও ব্রাহ্মসমাজের সংঘাত ও ভারতের তদানীন্তন সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলি।[১৩৩] ঘরে বাইরে উপন্যাসের বিষয়বস্তু ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নারী ও পুরুষের সম্পর্কের জটিলতা।[১৪১][১৪২][১৪৩] স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা আরও সূক্ষ্মভাবে উঠে এসেছে তাঁর পরবর্তী যোগাযোগ উপন্যাসেও।[১৩৩] চতুরঙ্গ উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের “ছোটগল্পধর্মী উপন্যাস”।[১৩৩] স্ত্রীর অসুস্থতার সুযোগে স্বামীর অন্য স্ত্রীলোকের প্রতি আসক্তি – এই বিষয়টিকে উপজীব্য করে রবীন্দ্রনাথ দুই বোন ও মালঞ্চ উপন্যাসদুটি লেখেন।[১৩৩] এর মধ্যে প্রথম উপন্যাসটি মিলনান্তক ও দ্বিতীয়টি বিয়োগান্তক।[১৩৩] রবীন্দ্রনাথের শেষ উপন্যাস চার অধ্যায় সমসাময়িক বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি বিয়োগান্তক প্রেমের উপন্যাস।[১৩৩]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাইরে[১৪৪] ও ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখের বালি।
প্রবন্ধ ও পত্রসাহিত্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। [৩১] এইসব প্রবন্ধে তিনি সমাজ, রাষ্ট্রনীতি, ধর্ম, সাহিত্যতত্ত্ব, ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, ছন্দ, সংগীত ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেন।[৩১] রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তামূলক প্রবন্ধগুলি সমাজ (১৯০৮) সংকলনে সংকলিত হয়েছে।[৩১] রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে লেখা রাজনীতি-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলি সংকলিত হয়েছে কালান্তর (১৯৩৭) সংকলনে।[৩১] রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা ও আধ্যাত্মিক অভিভাষণগুলি সংকলিত হয়েছে ধর্ম (১৯০৯) ও শান্তিনিকেতন (১৯০৯-১৬) অভিভাষণমালায়।[৩১] রবীন্দ্রনাথের ইতিহাস-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলি স্থান পেয়েছে ভারতবর্ষ (১৯০৬), ইতিহাস (১৯৫৫) ইত্যাদি গ্রন্থে।[৩১] সাহিত্য (১৯০৭), সাহিত্যের পথে (১৯৩৬) ও সাহিত্যের স্বরূপ (১৯৪৩) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যতত্ত্ব আলোচনা করেছেন।[৩১] রবীন্দ্রনাথ ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্য ও আধুনিক সাহিত্যের সমালোচনা করেছেন যথাক্রমে প্রাচীন সাহিত্য (১৯০৭) ও আধুনিক সাহিত্য (১৯০৭) গ্রন্থদুটিতে।[৩১] লোকসাহিত্য (১৯০৭) প্রবন্ধমালায় তিনি আলোচনা করেছেন বাংলা লোকসাহিত্যের প্রকৃতি।[৩১] ভাষাতত্ত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ রয়েছে শব্দতত্ত্ব (১৯০৯), বাংলা ভাষা পরিচয় (১৯৩৮) ইত্যাদি গ্রন্থে।[৩১] ছন্দ ও সংগীত নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন যথাক্রমে ছন্দ (১৯৩৬) ও সংগীতচিন্তা (১৯৬৬) গ্রন্থে।[৩১] বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষা-সংক্রান্ত ভাবনাচিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা (১৯০৮) প্রবন্ধমালায়।[৩১] ন্যাশনালিজম (ইংরেজি: Nationalism, ১৯১৭) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষণ করে তার বিরোধিতা করেছেন।[৩১] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দর্শন বিষয়ে যে বিখ্যাত বক্তৃতাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি রিলিজিয়ন অফ ম্যান (ইংরেজি: Religion of Man, ১৯৩০; বাংলা অনুবাদ মানুষের ধর্ম, ১৯৩৩) নামে সংকলিত হয়।[৩১] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা জন্মদিনের অভিভাষণ সভ্যতার সংকট (১৯৪১) তাঁর সর্বশেষ প্রবন্ধগ্রন্থ।[৩১] জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বপরিচয় (১৯৩৭) নামে একটি তথ্যমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছিলেন।[৩১] জীবনস্মৃতি (১৯১২), ছেলেবেলা (১৯৪০) ও আত্মপরিচয় (১৯৪৩) তাঁর আত্মকথামূলক গ্রন্থ।[৩১]রবীন্দ্রনাথের সামগ্রিক পত্রসাহিত্য আজ পর্যন্ত উনিশটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।[১২] এছাড়া ছিন্নপত্র ও ছিন্নপত্রাবলী (ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে লেখা), ভানুসিংহের পত্রাবলী (রানু অধিকারীকে (মুখোপাধ্যায়) লেখা) ও পথে ও পথের প্রান্তে (নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লেখা) বই তিনটি রবীন্দ্রনাথের তিনটি উল্লেখযোগ্য পত্রসংকলন।[১২]
নাট্যসাহিত্য
বাল্মীকি-প্রতিভা নাটকের দৃশ্য, কলকাতার একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপের দেওয়ালচিত্রে
গীতিনাট্য রচনার পর রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন।[১৪৫][১৪৭] শেকসপিয়রীয় পঞ্চাঙ্ক রীতিতে রচিত তাঁর রাজা ও রাণী (১৮৮৯)[১৪৮] ও বিসর্জন (১৮৯০)[১৪৯] বহুবার সাধারণ রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয় এবং তিনি নিজে এই নাটকগুলিতে অভিনয়ও করেন।[১৪৫] ১৮৮৯ সালে রাজা ও রাণী নাটকে বিক্রমদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ।[১৪৫] বিসর্জন নাটকটি দুটি ভিন্ন সময়ে মঞ্চায়িত করেছিলেন তিনি।[১৪৫] ১৮৯০ সালের মঞ্চায়নের সময় যুবক রবীন্দ্রনাথ বৃদ্ধ রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালের মঞ্চায়নের সময় বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ যুবক জয়সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[১৪৫] কাব্যনাট্য পর্বে রবীন্দ্রনাথের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২)[১৫০] ও মালিনী (১৮৯৬)।[১৪৫][১৫১]
কাব্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ প্রহসন রচনায় মনোনিবেশ করেন।[১৪৫] এই পর্বে প্রকাশিত হয় গোড়ায় গলদ (১৮৯২), বৈকুণ্ঠের খাতা (১৮৯৭), হাস্যকৌতুক (১৯০৭) ও ব্যঙ্গকৌতুক (১৯০৭)।[১৪৫] বৈকুণ্ঠের খাতা নাটকে রবীন্দ্রনাথ কেদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[১৪৫] ১৯২৬ সালে তিনি প্রজাপতির নির্বন্ধ উপন্যাসটিকেও চিরকুমার সভা নামে একটি প্রহসনমূলক নাটকের রূপ দেন।[১৪৫][১৫২]
তাসের দেশ নাটকের একটি আধুনিক উপস্থাপনা
১৯২৬ সালে নটীর পূজা নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচ ও গানের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[১৪৫] এই ধারাটিই তাঁর জীবনের শেষ পর্বে “নৃত্যনাট্য” নামে পূর্ণ বিকাশ লাভ করে।[১৪৫] নটীর পূজা নৃত্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ একে একে রচনা করেন শাপমোচন (১৯৩১), তাসের দেশ (১৯৩৩), নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা (১৯৩৬), নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা (১৯৩৮) ও শ্যামা (১৯৩৯)।[১৪৫] এগুলিও শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরাই প্রথম মঞ্চস্থ করেছিলেন।[১৪৫]
সংগীত ও নৃত্যকলা
![]() |
|
এই ফাইলটি শুনতে অসুবিধা হচ্ছে? মিডিয়া সাহায্য দেখুন। |
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রসংগীত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।[১০] ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।[১৫৪] রবীন্দ্রনাথ তাঁর বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।[১৫৫] রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।[১৫৬] প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন।[১৫৬] দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।[১৫৬] এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট।[১৫৬] এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন।[১৫৬] ১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।[১৫৬] এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ও ভাব তাঁর নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন।[১৫৬] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়।[১৫৬] কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র ও দুরূহ সুরসৃষ্টি।[১৫৬] তাঁর রচিত সকল গান সংকলিত হয়েছে গীতবিতান গ্রন্থে।[৩৬] এই গ্রন্থের "পূজা", "প্রেম", "প্রকৃতি", "স্বদেশ", "আনুষ্ঠানিক" ও "বিচিত্র" পর্যায়ে মোট দেড় হাজার গান সংকলিত হয়।[৩৬] পরে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, নাটক, কাব্যগ্রন্থ ও অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ থেকে বহু গান এই বইতে সংকলিত হয়েছিল।[৩৬] ইউরোপীয় অপেরার আদর্শে বাল্মীকি-প্রতিভা, কালমৃগয়া গীতিনাট্য এবং চিত্রাঙ্গদা, চণ্ডালিকা, ও শ্যামা সম্পূর্ণ গানের আকারে লেখা।[৩৬]রবীন্দ্রনাথের সময় বাংলার শিক্ষিত পরিবারে নৃত্যের চর্চা নিষিদ্ধ ছিল।[১২২] কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর পাঠক্রমে সংগীত ও চিত্রকলার সঙ্গে সঙ্গে নৃত্যকেও অন্তর্ভুক্ত করেন।[১২২] ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকনৃত্য ও ধ্রুপদি নৃত্যশৈলীগুলির সংমিশ্রণে তিনি এক নতুন শৈলীর প্রবর্তন করেন।[১২২] এই শৈলীটি "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত।[১২২] রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যগুলিতে গানের পাশাপাশি নাচও অপরিহার্য।[১২২] বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী উদয় শংকর যে আধুনিক ভারতীয় নৃত্যধারার প্রবর্তন করেছিলেন, তার পিছনেও রবীন্দ্রনাথের প্রেরণা ছিল।[১২২]
চিত্রকলা

"ড্যান্সিং গার্ল", রবীন্দ্রনাথ অঙ্কিত একটি তারিখবিহীন চিত্র
রাজনৈতিক মতাদর্শ ও শিক্ষাচিন্তা
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক মতাদর্শ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক দর্শন অত্যন্ত জটিল। তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন করতেন।[১৫৯][১৬০][১৬১] ১৮৯০ সালে প্রকাশিত মানসী কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়।[১৬২] হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলার তথ্যপ্রমাণ এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ গদর ষড়যন্ত্রের
কথা শুধু জানতেনই না, বরং উক্ত ষড়যন্ত্রে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তেরাউচি
মাসাতাকি ও প্রাক্তন প্রিমিয়ার ওকুমা শিগেনোবুর সাহায্যও প্রার্থনা
করেছিলেন।[১৬৩] আবার ১৯২৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে স্বদেশী আন্দোলনকে "চরকা-সংস্কৃতি" বলে বিদ্রুপ করে রবীন্দ্রনাথ কঠোর ভাষায় তার বিরোধিতা করেন।[১৬৪]
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাঁর চোখে ছিল "আমাদের সামাজিক সমস্যাগুলির রাজনৈতিক
উপসর্গ"। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বৃহত্তর জনসাধারণের স্বনির্ভরতা ও
বৌদ্ধিক উন্নতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। ভারতবাসীকে অন্ধ
বিপ্লবের পন্থা ত্যাগ করে দৃঢ় ও প্রগতিশীল শিক্ষার পন্থাটিকে গ্রহণ করার
আহ্বান জানান রবীন্দ্রনাথ।[১৬৫][১৬৬]
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের আতিথেয়তায় মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর পত্নী কস্তুরবা গান্ধী, ১৯৪০।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর "তোতা-কাহিনী" গল্পে বিদ্যালয়ের মুখস্ত-সর্বস্ব শিক্ষাকে প্রতি তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। এই গল্পে রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছিলেন, দেশের ছাত্রসমাজকে খাঁচাবদ্ধ পাখিটির মতো শুকনো বিদ্যা গিলিয়ে কিভাবে তাদের বৌদ্ধিক মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।[১৭২][১৭৩] ১৯১৭ সালের ১১ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা বারবারা ভ্রমণের সময় রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা সম্পর্কে প্রথাবিরুদ্ধ চিন্তাভাবনা শুরু করেন। শান্তিনিকেতন আশ্রমকে দেশ ও ভূগোলের গণ্ডীর বাইরে বের করে ভারত ও বিশ্বকে একসূত্রে বেঁধে একটি বিশ্ব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও এই সময়েই গ্রহণ করেছিলেন কবি।[১৬৭] ১৯১৮ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্বভারতীη[›] নামাঙ্কিত তাঁর এই বিদ্যালয়ের শিলান্যাস করা হয়েছিল। এরপর ১৯২২ সালের ২২ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়েছিল এই বিদ্যালয়ের।[১৭৪] বিশ্বভারতীতে কবি সনাতন ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার ব্রহ্মচর্য ও গুরুপ্রথার পুনর্প্রবর্তন করেছিলেন। এই বিদ্যালয়ের জন্য অর্থসংগ্রহ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ তিনি ঢেলে দিয়েছিলেন এই বিদ্যালয়ের পরিচালন খাতে।[১৭৫] নিজেও শান্তিনিকেতনের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক হিসেবেও অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতেন তিনি। সকালে ছাত্রদের ক্লাস নিতেন এবং বিকেল ও সন্ধ্যায় তাদের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনা করতেন।[১৭৬] ১৯১৯ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিদ্যালয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি একাধিকবার ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণ করেন।[১৭৭]
প্রভাব
প্রাগের রবীন্দ্রমূর্তি
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, বর্তমানে কবির নামাঙ্কিত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাধিস্থল, নিমতলা মহাশ্মশান, কলকাতা।
রবীন্দ্রনাথের মূল বাংলা কবিতা পড়েননি এমন বহু পাশ্চাত্য সাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক রবীন্দ্রনাথের গুরুত্ব অস্বীকারও করেছিলেন। গ্রাহাম গ্রিন সন্দিগ্ধচিত্তে মন্তব্য করেছিলেন, "ইয়েটস সাহেব ছাড়া আর কেউই রবীন্দ্রনাথের লেখাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন না।"[১৮৬] রবীন্দ্রনাথের সম্মানের কিছু পুরনো লাতিন আমেরিকান খণ্ডাংশ সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। নিকারাগুয়া ভ্রমণের সময় সালমান রুশদি এই জাতীয় কিছু উদাহরণ দেখে অবাক হন।[১৮৮]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামাঙ্কিত স্মারক ও দ্রষ্টব্যস্থল
![]() |
বাংলা ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
![]() |
ইংরেজি ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে:
|
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন।
- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বীরভূম — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন।
- শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি কুঠিবাড়ি। [১৮৯]
- রবীন্দ্র পুরস্কার — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার।
- রবীন্দ্রসদন — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত কলকাতার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কার্যালয়।
- রবীন্দ্র সেতু — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত হাওড়া ও কলকাতা শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতু।
- রবীন্দ্র সরোবর, কলকাতা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত ভারতের একটি জাতীয় হ্রদ। এটি কলকাতার বৃহত্তম হ্রদ।[১৯০]
- রবীন্দ্রনাথ সড়ক, যশোর, বাংলাদেশ । 'মনিহার' সিনেমা হল থেকে চৌরাস্তার (চার রাস্তা) মোড় এর মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা ।
পাদটীকা
- ^ ক: তাঁর প্রথম রচনা, "মীনগণ দীন হয়ে ছিল সরোবরে / এখন তাহারা সুখে জলে ক্রীড়া করে।"
- ^ খ: রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়েছিল ৬ নং দ্বারকানাথ লেনের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির মূল বাসভবনে। এই বাড়িতেই বাস করতেন ঠাকুর পরিবারের জোড়াসাঁকো শাখাটি। পারিবারিক বিবাদের কারণে এই শাখাটি মূল পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জোড়াসাঁকো বর্তমানে উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র সরণির (তৎকালীন চিৎপুর রোড) নিকটস্থ।[১৯১]
- ^ গ: স্টকহোমে সুইডিশ একাডেমী নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ১৩ নবেম্বর ১৯১৩ তারিখে।[১৯২]
- ^ ঘ: যেমন বেহাগ বা খাম্বাজ রাগিনীতে কোমল ধৈবত প্রয়োগ সিদ্ধ হয় না ; কিন্তু "আমার নিশীথ-রাতের বাদল-ধারা / এসো হে গোপনে / আমার স্বপন-লোকে দিশাহারা" গানটিতে রবীন্দ্রনাথ উদ্দীষ্ট আবেগ ফুটিয়ে তুলতে কোমল ধৈবত লাগিয়েছেন।
তথ্যসূত্র
|month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|reprint=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|tittle=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |title=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)|day=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য); |month=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)- The Empire, ১৪ নভেম্বর, ১৯১৩, কলকাতা, পৃ:১।
মূল সূত্র
- নিবন্ধ
- Frenz, H. (editor) (১৯৬৯)। Rabindranath Tagore—Biography। Nobel Foundation। সংগৃহীত ২০০৯-১১-২৬।
|dateformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Meyer, L. (২০০৪)। "Tagore in The Netherlands"। Parabaas। সংগৃহীত ২০০৯-১১-২৬।
|dateformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Radice, W. (২০০৩)। "Tagore's Poetic Greatness"। Parabaas। সংগৃহীত ২০০৯-১১-২৬।
|dateformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Robinson, A.। "Rabindranath Tagore"। Encyclopædia Britannica। সংগৃহীত ২০০৯-১১-২৬।
|dateformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Sen, A. (1997), "Tagore and His India", New York Review of Books, retrieved 2009-11-26
- গ্রন্থ
- Brown, G. (১৯৪৮)। "The Hindu Conspiracy: 1914–1917"। The Pacific Historical Review (University of California Press) 17 (3): 299–310। আইএসএসএন 0030-8684।
- Chakravarty, A. (editor) (১৯৬১)। A Tagore Reader। Beacon Press। আইএসবিএন 978-0807059715।
- Dutta, K.; Robinson, A. (১৯৯৫)। Rabindranath Tagore: The Myriad-Minded Man। Saint Martin's Press। আইএসবিএন 0-312-14030-4।
- Dutta, K. (editor); Robinson, A. (editor) (১৯৯৭)। Rabindranath Tagore: An Anthology। Saint Martin's Press। আইএসবিএন 0-312-16973-6।
- Roy, B. K. (১৯৭৭)। Rabindranath Tagore: The Man and His Poetry। Folcroft Library Editions। আইএসবিএন 0-8414-7330-7।
- Stewart, T. (editor, translator); Twichell, C. (editor, translator) (২০০৩)। Rabindranath Tagore: Lover of God। Copper Canyon Press। আইএসবিএন 1-55659-196-9।
- Tagore, R. (১৯৭৭)। Collected Poems and Plays of Rabindranath Tagore। Macmillan Publishing। আইএসবিএন 0-02-615920-1।
- Thompson, E. (১৯২৬)। Rabindranath Tagore: Poet and Dramatist। Read। আইএসবিএন 1-4067-8927-5।
- Urban, H. B. (২০০১)। Songs of Ecstasy: Tantric and Devotional Songs from Colonial Bengal। Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-513901-1।
- চক্রবর্তী, শুভঙ্কর (১৯৯৯)। সর্বজনের রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন
- পাল, প্রশান্তকুমার। রবিজীবনী (১-৯) (বাংলা ভাষায়)। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড।
- মুখোপাধ্যায়, প্রভাতকুমার। রবীন্দ্রজীবনী (১-৪)। কলকাতা: বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ।
- মুখোপাধ্যায়, প্রভাতকুমার (১৯৮১)। রবীন্দ্রজীবনকথা। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। আইএসবিএন 81-7066-577-9।
- বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্তরঞ্জন (সম্পাদক)। রবীন্দ্র-প্রসঙ্গ: আনন্দবাজার পত্রিকা (১-৪)। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড।
- ঘোষ, শুভময় (অনুবাদ ও সম্পাদনা) (১৯৬১)। সোভিয়েত ইউনিয়নে রবীন্দ্রনাথ। শান্তিনিকেতন: রবীন্দ্রভবন।
- ঘোষ, শান্তিদেব (১৯৭২)। রবীন্দ্রসঙ্গীত বিচিত্রা। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। আইএসবিএন 81-7066-04-X
|isbn=
মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। - ভট্টাচার্য, উপেন্দ্রনাথ। রবীন্দ্র-নাট্য-পরিক্রমা (বাংলা ভাষায়)। কলকাতা: ওরিয়েন্ট বুক কোম্পানি।
- চট্টোপাধ্যায়, সুনীতিকুমার (১৯৪০)। রবীন্দ্র-সংগমে দ্বীপময় ভারত ও শ্যাম-দেশ। কলকাতা: প্রকাশ ভবন।
- চৌধুরী, সুভাষ (২০০৪)। গীতবিতানের জগৎ। কলকাতা: প্যাপিরাস। আইএসবিএন 81-1875-087-X
|isbn=
মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। - আইয়ুব, আবু সয়ীদ (১৯৭৩)। পান্থজনের সখা। কলকাতা: দে’জ পাবলিশিং।
- আইয়ুব, আবু সয়ীদ (১৯৬৮)। আধুনিকতা ও রবীন্দ্রনাথ। কলকাতা: দে’জ পাবলিশিং।
- আইয়ুব, আবু সয়ীদ (১৯৭৭)। পথের শেষ কোথায়। কলকাতা: দে’জ পাবলিশিং।
- ভট্টাচার্য, এস.। রবীন্দ্র নাট্য ধারার প্রথম পর্যায় (বাংলা ভাষায়)। ঢাকা, বাংলাদেশ: জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী।
- Chaudhuri, A. (২০০৪)। The Vintage Book of Modern Indian Literature। Vintage। আইএসবিএন 0-375-71300-X।
- Deutsch, A.; Robinson, A. (১৯৮৯)। The Art of Rabindranath Tagore। Monthly Review Press। আইএসবিএন 0-233-98359-7।
- Deutsch, A. (editor); Robinson, A. (editor) (১৯৯৭)। Selected Letters of Rabindranath Tagore। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-59018-3।
- Som, R. (২০০৯)। Rabindranath Tagore: The Singer and his Song। New Delhi, India: Penguin Books (Viking)। আইএসবিএন 978-067008248-3।
- Tagore, R. (২০০০)। Gitanjali। Macmillan India Limited। আইএসবিএন 0-333-93575-6।
- Tagore, Rabindranath (১৯৫২)। Collected Poems and Plays of Rabindranath Tagore। Macmillan Publishing (প্রকাশিত জানুয়ারি ১৯৫২)। আইএসবিএন 978-0-02-615920-3।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore, Rabindranath (১৯৮৪)। Some Songs and Poems from Rabindranath Tagore। East-West Publications। আইএসবিএন 978-0-85692-055-4।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; Fakrul Alam (editor); Radha Chakravarty (editor)., Rabindranath; Alam, F. (editor); Chakravarty, R. (editor) (২০১১)। The Essential Tagore। Harvard University Press (প্রকাশিত ১৫ এপ্রিল ২০১১)। পৃ: ৩২৩। আইএসবিএন 978-0-674-05790-6।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; Amiya Chakravarty (editor)., Rabindranath; Chakravarty, A. (editor) (১৯৬১)। A Tagore Reader। Beacon Press (প্রকাশিত ১ জুন ১৯৬১)। আইএসবিএন 978-0-8070-5971-5।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; Krishna Dutta (editor); W. Andrew Robinson (editor)., Rabindranath; Dutta, K. (editor); Robinson, A. (editor) (১৯৯৭)। Selected Letters of Rabindranath Tagore। Cambridge University Press (প্রকাশিত ২৮ জুন ১৯৯৭)। আইএসবিএন 978-0-521-59018-1।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; Krishna Dutta (editor); W. Andrew Robinson (editor)., Rabindranath; Dutta, K. (editor); Robinson, A. (editor) (১৯৯৭)। Rabindranath Tagore: An Anthology। Saint Martin's Press (প্রকাশিত নভেম্বর ১৯৯৭)। আইএসবিএন 978-0-312-16973-2।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; Mohit K. Ray (editor)., Rabindranath; Ray, M. K. (editor) (২০০৭)। The English Writings of Rabindranath Tagore 1। Atlantic Publishing (প্রকাশিত ১০ জুন ২০০৭)। আইএসবিএন 978-81-269-0664-2।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore., Rabindranath (১৯১৬)। Sādhanā: The Realisation of Life। Macmillan।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore., Rabindranath (১৯৩০)। The Religion of Man। Macmillan।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; Devabrata Mukerjea (translator)., Rabindranath; Mukerjea, D. (translator) (১৯১৪)। The Post Office। London: Macmillan।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; Palash Baran Pal (translator)., Rabindranath; Pal, P. B. (translator) (২০০৪)। "The Parrot's Tale"। Parabaas (১ ডিসেম্বর ২০০৪)।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; William Radice (translator)., Rabindranath; Radice, W. (translator) (১৯৯৫)। Rabindranath Tagore: Selected Poems (1st সংস্করণ)। London: Penguin (প্রকাশিত ১ জুন ১৯৯৫)। আইএসবিএন 978-0-14-018366-5।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore; William Radice (translator)., Rabindranath; Radice, W (translator) (২০০৪)। Particles, Jottings, Sparks: The Collected Brief Poems। Angel Books (প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০০৪)। আইএসবিএন 978-0-946162-66-6।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Tagore;
Tony K. Stewart (translator); Chase Twichell (translator).,
Rabindranath; Stewart, T. K. (translator); Twichell, C. (translator) (২০০৩)। Rabindranath Tagore: Lover of God। Lannan Literary Selections। Copper Canyon Press (প্রকাশিত ১ নভেম্বর ২০০৩)। আইএসবিএন 978-1-55659-196-9।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Bhattacharya, S. (২০০১)। Translating Tagore। Chennai, India: The Hindu (প্রকাশিত ২ সেপ্টেম্বর ২০০১)। সংগৃহীত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Brown, G. T. (১৯৪৮)। "The Hindu Conspiracy: 1914–1917"। The Pacific Historical Review (University of California Press, প্রকাশিত আগস্ট ১৯৪৮) 17 (3): 299–310। আইএসএসএন 0030-8684। ডিওআই:10.2307/3634258।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Cameron, R. (২০০৬)। "Exhibition of Bengali Film Posters Opens in Prague"। Radio Prague (৩১ মার্চ ২০০৬)। সংগৃহীত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Chakrabarti, I. (২০০১)। "A People's Poet or a Literary Deity?"। Parabaas (১৫ জুলাই ২০০১)। সংগৃহীত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Das, S. (২০০৯)। "Tagore's Garden of Eden"। The Telegraph (Calcutta, India, প্রকাশিত ২ আগস্ট ২০০৯)। সংগৃহীত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Dasgupta, A. (২০০১)। "Rabindra-Sangeet as a Resource for Indian Classical Bandishes"। Parabaas (১৫ জুলাই ২০০১)। সংগৃহীত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Dyson, K. K. (২০০১)। "Rabindranath Tagore and His World of Colours"। Parabaas (১৫ জুলাই ২০০১)। সংগৃহীত ২৬ নভেম্বর ২০০৯।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Frenz, H. (১৯৬৯)। Rabindranath Tagore—Biography। Nobel Foundation। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Ghosh, B. (২০১১)। "Inside the World of Tagore's Music"। Parabaas (আগস্ট ২০১১)। সংগৃহীত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Harvey, J. (১৯৯৯)। In Quest of Spirit: Thoughts on Music। University of California Press। সংগৃহীত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Hatcher, B. A. (২০০১)। "Aji Hote Satabarsha Pare: What Tagore Says to Us a Century Later"। Parabaas (১৫ জুলাই ২০০১)। সংগৃহীত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Hjärne, H. (১৯১৩)। The Nobel Prize in Literature 1913: Rabindranath Tagore—Award Ceremony Speech। Nobel Foundation (প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর ১৯১৩)। সংগৃহীত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Jha, N. (১৯৯৪)। "Rabindranath Tagore"। PROSPECTS: The Quarterly Review of Education (Paris: UNESCO: International Bureau of Education) 24 (3/4): 603–19। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Kämpchen, M. (২০০৩)। "Rabindranath Tagore in Germany"। Parabaas (২৫ জুলাই ২০০৩)। সংগৃহীত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Kinzer, S. (২০০৬)। "Bülent Ecevit, Who Turned Turkey Toward the West, Dies"। The New York Times (৫ নভেম্বর ২০০৬)। সংগৃহীত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Kundu, K. (২০০৯)। "Mussolini and Tagore"। Parabaas (৭ মে ২০০৯)। সংগৃহীত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Mehta, S. (১৯৯৯)। The First Asian Nobel Laureate। Time (প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ১৯৯৯)। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Meyer, L. (২০০৪)। "Tagore in The Netherlands"। Parabaas (১৫ জুলাই ২০০৪)। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Mukherjee, M. (২০০৪)। "Yogayog ("Nexus") by Rabindranath Tagore: A Book Review"। Parabaas (২৫ মার্চ ২০০৪)। সংগৃহীত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Pandey, J. M. (২০১১)। Original Rabindranath Tagore Scripts in Print Soon। Times of India (প্রকাশিত ৮ আগস্ট ২০১১)। সংগৃহীত ১ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - O'Connell, K. M. (২০০৮)। "Red Oleanders (Raktakarabi) by Rabindranath Tagore—A New Translation and Adaptation: Two Reviews"। Parabaas (ডিসেম্বর ২০০৮)। সংগৃহীত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Radice, W. (২০০৩)। "Tagore's Poetic Greatness"। Parabaas (৭ মে ২০০৩)। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Robinson, A.। "Rabindranath Tagore"। Encyclopædia Britannica। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Sen, A. (১৯৯৭)। "Tagore and His India"। The New York Review of Books। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Sil, N. P. (২০০৫)। "Devotio Humana: Rabindranath's Love Poems Revisited"। Parabaas (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। সংগৃহীত ১৩ আগস্ট ২০০৯।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Ayyub, A. S. (১৯৮০)। Tagore's Quest। Papyrus।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Chakraborty, S. K.; Bhattacharya, P. (২০০১)। Leadership and Power: Ethical Explorations। Oxford University Press (প্রকাশিত ১৬ আগস্ট ২০০১)। আইএসবিএন 978-0-19-565591-9।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Dasgupta, T. (১৯৯৩)। Social Thought of Rabindranath Tagore: A Historical Analysis। Abhinav Publications (প্রকাশিত ১ অক্টোবর ১৯৯৩)। আইএসবিএন 978-81-7017-302-1।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Datta, P. K. (২০০২)। Rabindranath Tagore's The Home and the World: A Critical Companion (1st সংস্করণ)। Permanent Black (প্রকাশিত ১ ডিসেম্বর ২০০২)। আইএসবিএন 978-81-7824-046-6।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Dutta, K.; Robinson, A. (১৯৯৫)। Rabindranath Tagore: The Myriad-Minded Man। Saint Martin's Press (প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৯৯৫)। আইএসবিএন 978-0-312-14030-4।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Farrell, G. (২০০০)। Indian Music and the West। Clarendon Paperbacks Series (3 সংস্করণ)। Oxford University Press (প্রকাশিত ৯ মার্চ ২০০০)। আইএসবিএন 978-0-19-816717-4।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Hogan, P. C. (২০০০)। Colonialism and Cultural Identity: Crises of Tradition in the Anglophone Literatures of India, Africa, and the Caribbean। State University of New York Press (প্রকাশিত ২৭ জানুয়ারি ২০০০)। আইএসবিএন 978-0-7914-4460-3।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Hogan, P. C.; Pandit, L. (২০০৩)। Rabindranath Tagore: Universality and Tradition। Fairleigh Dickinson University Press (প্রকাশিত মে ২০০৩)। আইএসবিএন 978-0-8386-3980-1।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Kripalani, K. (২০০৫)। Dwarkanath Tagore: A Forgotten Pioneer—A Life। National Book Trust of India। আইএসবিএন 978-81-237-3488-0।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Kripalani, K. (২০০৫)। Tagore—A Life। National Book Trust of India। আইএসবিএন 978-81-237-1959-7।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Lago, M. (১৯৭৭)। Rabindranath Tagore। Boston: Twayne Publishers (প্রকাশিত এপ্রিল ১৯৭৭)। আইএসবিএন 978-0-8057-6242-6।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Lifton, B. J.; Wiesel, E. (১৯৯৭)। The King of Children: The Life and Death of Janusz Korczak। St. Martin's Griffin (প্রকাশিত ১৫ এপ্রিল ১৯৯৭)। আইএসবিএন 978-0-312-15560-5।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Prasad, A. N.; Sarkar, B. (২০০৮)। Critical Response To Indian Poetry in English। Sarup and Sons। আইএসবিএন 978-81-7625-825-8।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Ray, M. K. (২০০৭)। Studies on Rabindranath Tagore 1। Atlantic (প্রকাশিত ১ অক্টোবর ২০০৭)। আইএসবিএন 978-81-269-0308-5। সংগৃহীত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Roy, B. K. (১৯৭৭)। Rabindranath Tagore: The Man and His Poetry। Folcroft Library Editions। আইএসবিএন 978-0-8414-7330-0।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Scott, J. (২০০৯)। Bengali Flower: 50 Selected Poems from India and Bangladesh (প্রকাশিত ৪ জুলাই ২০০৯)। আইএসবিএন 978-1-4486-3931-1।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Sen, A. (২০০৬)। The Argumentative Indian: Writings on Indian History, Culture, and Identity (1st সংস্করণ)। Picador (প্রকাশিত ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। আইএসবিএন 978-0-312-42602-6।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Sigi, R. (২০০৬)। Gurudev Rabindranath Tagore—A Biography। Diamond Books (প্রকাশিত ১ অক্টোবর ২০০৬)। আইএসবিএন 978-81-89182-90-8।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Som, R. (২০১০)। Rabindranath Tagore: The Singer and His Song। Viking (প্রকাশিত ২৬ মে ২০১০)। আইএসবিএন 978-0-670-08248-3।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Thompson, E. (১৯২৬)। Rabindranath Tagore: Poet and Dramatist। Pierides Press। আইএসবিএন 978-1-4067-8927-0।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Urban, H. B. (২০০১)। Songs of Ecstasy: Tantric and Devotional Songs from Colonial Bengal। Oxford University Press (প্রকাশিত ২২ নভেম্বর ২০০১)। আইএসবিএন 978-0-19-513901-3।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Daruwalla, K. N. (২০০৭)। Poetry Magic। Ratna Sagar P.Ltd. (প্রকাশিত ২০০৬)। আইএসবিএন 81-8332-175-5।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - Photo of Tagore in Shiraz। 29.616445; 52.542114: Flickr (প্রকাশিত ১৬ মার্চ ২০০৬)। ২০০৬। সংগৃহীত ৩০ আগস্ট ২০১১।
- Harding, M. (২০০৮)। Where the Hell is Matt?। YouTube (প্রকাশিত ২০ জুন ২০০৮)। সংগৃহীত ২৬ নভেম্বর ২০০৯।
|authorformat=
প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য) - "68th Death Anniversary of Rabindranath Tagore"। The Daily Star (Dhaka, প্রকাশিত ৭ আগস্ট ২০০৯)। ২০০৯। সংগৃহীত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- "Recitation of Tagore's Poetry of Death"। Hindustan Times (Indo-Asian News Service)। ২০০৫।
- Archeologists Track Down Tagore's Ancestral Home in Khulna। The News Today (প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০১১)। ২০১১। সংগৃহীত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- The Nobel Prize in Literature 1913। The Nobel Foundation। সংগৃহীত ১৪ আগস্ট ২০০৯।
- Tagore and Einstein—A Conversation। School of Wisdom (প্রকাশিত ২৮ জুন ২০১০)। ২০১০। সংগৃহীত ৭ জুলাই ২০১৩।
- "History of the Tagore Festival"। Tagore Festival Committee (University of Illinois at Urbana-Champaign: College of Business)। সংগৃহীত ২৯ নভেম্বর ২০০৯।
বহিঃসংযোগ
- ব্যাখ্যামূলক
- "রবীন্দ্রনাথ, ...", বাংলাপিডিয়া
- "... ও তাঁর ভারত", নোবেল ফাউন্ডেশন
- "... সাম্প্রতিক নিবন্ধাবলি", পরবাস
- "... প্রতিষ্ঠাতা", বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
- অডিওবই
- "সাধনা: ...", লিব্রিভক্স
- কথোপকথন
- ... আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে এবং এইচ জি ওয়েলসের সঙ্গে, স্কুল অফ উইসডম
- রচনাবলি
Post a Comment
Thenks for your comments.