Halloween Costume ideas 2015

Behiond The Seen of Bangladesh

পুরান ঢাকা (প্রতিবেদন-১)

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য


পুরনো ঢাকা বা পুরান ঢাকা ঢাকা মহানগরীর আদি ও অকৃত্রিম অঞ্চলটিকে বলা হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাধারণ বাঙালী সংস্কৃতি থেকে এখানকার সংস্কৃতি অনেকটাই ভিন্নতর। পুরান ঢাকা পূর্ব-পশ্চিমে সূত্রাপুর মিল ব্যারাক থেকে হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় পর্যন্ত এবং দক্ষিণে ঢাকা সদর ঘাট থেকে নবাবপুর পর্যন্ত বিস্তৃত।

পরিচ্ছেদসমূহ

ইতিহাস

৭০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলটিতে শহর গড়ে ওঠে। ঢাকার নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে। কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে। আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবাহ্ বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উড়িষ্যার বেশকিছু অঞ্চল) রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, মুঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিলো।

প্রশাসন

পুরান ঢাকা ৮ টি মেট্রোপলিটন থানা এলাকা নিয়ে গঠিত। এগুলো হল - হাজারীবাগ, লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, ঢাকা সদর বা কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, ওয়ারীগেন্ডারিয়া। এটি 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন' এর অন্তর্ভুক্ত একটি অঞ্চল। পুরান ঢাকা'র পশ্চিমে মোহাম্মদপুর, উত্তরে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, শাহবাগ, রমনা, মতিঝিল ও সবুজবাগ, পূর্বে যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর এবং দক্ষিণে কামরাঙ্গীরচর থানা ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।

যাতায়াত

পুরান ঢাকা'র সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় বাহন হলো রিকশা। এই প্রাচীন শহরটির রাস্তাগুলো খুব সরু হওয়াতে রিকশা এখানকার প্রধান বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া যান্ত্রিক বাহনগুলোর মধ্যে বাস, টেম্পো, সি.এন.জি. চালিত অটোরিকশা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অঞ্চল হওয়ায় মালপত্র আনা-নেয়ার জন্য গভীর রাতে পুরান ঢাকা'র সড়কগুলো ট্রাকের দখলে চলে যায়।

অর্থনীতি ও বাণিজ্য

পুরান ঢাকা বাংলাদেশের প্রধানতম বাণিজ্যকেন্দ্র। এখানকার চকবাজার এলাকায় সব রকমের পণ্যসামগ্রীর বিপণন হয়। ঢাকা মহানগরী এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শপিং মলগুলো এখান থেকেই তাদের বেশিরভাগ মালামাল ক্রয় করে। মৌলভীবাজার হলো স্বল্প সময়ে পচনশীল নয়, এমন সব খাদ্যপণ্যের বৃহত্তম বিক্রয় অঞ্চল। কাওরানবাজার এর দোকানদারগণ এখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়ে যান। চামড়া শিল্প হলো বাংলাদেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প। বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান চামড়া প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি পুরান ঢাকা'র হাজারীবাগ এলাকায় অবস্থিত। লালবাগের পোস্তা হলো দেশের অন্যতম কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ অঞ্চল। ইসলামপুর হলো থান কাপড়ের বৃহত্তম বিপণন অঞ্চল। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো - নয়াবাজার, মিটফোর্ড, সিদ্দিকবাজার, আলুবাজার, নবাবপুর, পাটুয়াটুলী, সদরঘাট, বংশাল ইত্যাদি। এখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা মূলত ব্যবসায়ী। বংশ পরম্পরায় তারা ব্যবসা করে আসছে। বহিরাগত অনেক লোক এখানে চাকুরী করে থাকে।

জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি

পুরান ঢাকা'র বেশিরভাগ স্থানীয় অধিবাসী আদি ঢাকাইয়া। এখানকার অধিবাসীগণ ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অধিকতর রক্ষণশীল। পুরান ঢাকা'র সংস্কৃতির সাথে দিল্লি'র স্থানীয় অধিবাসীদের সংস্কৃতির কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ঢাকাইয়া লোকেরা চালাক-চতুর, কিন্তু ব্যবহারে খুবই অমায়িক হয়ে থাকেন। অতিথিদের আপ্যায়ন বা খাতিরদারীতে পুরান ঢাকা'র লোকেরা দেশে সর্বশ্রেষ্ঠ। ঢাকাইয়া পরিবারগুলোতে বয়স্ক ব্যক্তিদের অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখানো হয়। এখানকার সংখ্যাগুরু লোকের ধর্ম ইসলাম। তারা ঢাকা'র অন্য এলাকার মানুষের তুলনায় অধিকতর ধর্মসচেতন। প্রায় প্রতিটি মহল্লায় একটি অথবা দু'টি করে মসজিদ রয়েছে। এর কারণেই ঢাকাকে 'মসজিদের নগরী' বলা হয়ে থাকে। পুরান ঢাকায় হিন্দু ও ঈসায়ী, এ দুই সম্প্রদায়ের লোকজনও রয়েছেন। ঢাকাইয়ারা ভোজনরসিক। মুঘল প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে অনেক আগে থেকেই উত্তর ভারতীয় খাবারগুলো এখানে জনপ্রিয়। এখানকার উল্লেখযোগ্য খাবারগুলো হলো - টিক্কা, জালি কাবাব, কাঠি কাবাব, শাম্মি কাবাব, বটি কাবাব, নার্গিস কাবাব, শিক কাবাব, দই-বড়া, মুরগি মুসাললাম, খাসির পায়া, কাচ্চি বিরিয়ানী, পাক্কি বিরিয়ানী, মোরগ পোলাও, নান রুটি, বাকরখানি বা সুখা রুটি, নিহারি, বোরহানী, লাবান, ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য মসলাদার খাবার ঢাকাইয়াদের বিশেষ পছন্দনীয়। নান্নার বিরিয়ানী, হাজী'র বিরিয়ানী, আল রাজ্জাক রেস্টুরেন্ট, রয়েল রেস্টুরেন্ট, আমানিয়া হোটেল, ইত্যাদি এখানকার সুপরিচিত খাদ্যসামগ্রী বিক্রেতা। পুরান ঢাকা'র প্রধান ভাষা ঢাকাইয়া বাংলা। এছাড়া আদি ঢাকাইয়া'রা উর্দুতে কথা বলে থাকে। ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা ও শবে বরাত পুরান ঢাকা'র প্রধান ধর্মীয় উৎসব। পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখীও এখানে সাড়ম্বরভাবে পালিত হয়। পৌষ সংক্রান্তির দিনে লোকজন ঘুড়ি উৎসবে মেতে ওঠে। প্রতিবছর ১৪ বা ১৫ই জানুয়ারি এ উৎসব পালিত হয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হাজারীবাগ লেদার টেকনোলজি কলেজ মাঠে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে মধ্য পুরান ঢাকা'র প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়ানো হয়। উত্তর ভারতীয় এ ঘুড়ি উৎসবটিকে স্থানীয়রা 'সাকরাইন' নামে অভিহিত করে।

সামাজিক ব্যবস্থা

ঢাকা মহানগর সমিতি নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ঢাকাইয়াদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পুরান ঢাকার কিছু মহল্লায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে। এসব পঞ্চায়েতের প্রধানদের সরদার বলা হয়। বেশ ক'জন জীবিত ও মৃত উল্লেখযোগ্য সরদারগণ হলেন - সিদ্দিক সরদার,আলহাজ্ব গণি সরদার, মাজেদ সরদার, সোরাজ সরদার, পিয়ারু সরদার, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান সরদার, আলম সরদার, কাদের সরদার, বেল্লাল সরদার ও আরো অনেকে। তারা বিভিন্নসময় পুরান ঢাকা'র সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং এখনো রাখছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

পুরান ঢাকা'র উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হল -
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
  • স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
  • ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল
  • ইন্সটিটিউট অব লেদার টেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজি)
  • পোগোজ স্কুল
  • তিব্বিয়া হাবিবিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ
  • আরমানীটোলা বালক উচ্চ বিদ্যালয় ইত্যাদি।
ইতিহাস পর্যবেক্ষণে জানা যায়, পুরান ঢাকা একসময় অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, সুন্দর ও ছিমছাম একটি শহর ছিলো। কিন্তু মুঘল শাসকদের পতনের পর থেকে পুরান ঢাকা'র ভাগ্যে বিপর্ষয় নেমে আসে। ব্রিটিশ শাসকরা এ শহরের কিছু দেখভাল করলেও বর্তমান সময়ের প্রশাসনযন্ত্রের অবহেলায় পুরান ঢাকা ধীরে ধীরে তার শ্রী হারিয়ে ফেলছে।




পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী যত খাবার
৪০০ বছরের অধিক সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকা মানেই সেরা আর বিখ্যাত খাবারের সমারোহ। সেই সব বিখ্যাত আর মুখরোচক খাবারের হোটেলগুলোর ঠিকানাগুলো একসাথে জাগো নিউজের পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।

পুরান ঢাকার বিখ্যাত আর জনপ্রিয় খাবারের দোকানের তালিকা :

১. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি, গ্লাসি, মোরগ পোলাও।

২. লালবাগ রয়্যালের কাচ্চি, জাফরান-বাদামের শরবত, চিকেন টিক্কা আর সেরা লাবান, কাশ্মীরী নান।

৩. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসির লেকুশ, চিংড়ি ,ফালুদা।

৪. নবাবপুর আরজু হোটেল এর মোরগ পোলাও, নাশতা আর কাচ্চি।

৫. নারিন্দার ঝুনু বিরিয়ানি

৬. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানি।

৭. নাজিমুদ্দিন রোডের হোটেল নিরবের অনেক ধরনের ভর্তা।

৮. নাজিরা বাজারের হাজি বিরিয়ানি এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানি।

৯. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ি, কাটারী পোলাও।

১০. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার।

১১. বেচারাম দেউরীতে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও।

১২. ঠাটারীবাজার স্টার এর কাচ্চি বিরিয়ানি, লেগ রোস্ট আর ফালুদা।

১৩. ঠাটারী বাজারের গ্রিন সুইটস এর আমিত্তি, জিলাপি।

১৪. রায় সাহেব বাজারের গলিতে মাখন মিয়ার পোলাও।

১৫. সুত্রাপুর বাজারের রহিম মিয়ার খাসির বিরিয়ানি।

১৬. গেন্ডারিয়ার রহমানিয়া এর কাবাব।

১৭. কলতাবাজারের নাসির হোটেলের বিখ্যাত গরুর মাংস আর পরাটা ।

১৮. ভিক্টোরিয়া পার্কের সুলতান ভাইয়ের চা ১।

১৯. দয়াগঞ্জের সিটি বিরিয়ানি ও কাচ্চি ।

২০. নারিন্দার সফর বিরিয়ানি ।

২১. আরমানিটোলা তারা মসজিদের পাশে জুম্মন মামার চটপটি ।

২২. সিদ্দিক বাজারের মাজাহার সুইটস ।

২৩. সুত্রাপুর ডালপট্টির বুদ্ধুর পুরি ।

২৪. আবুল হাসনাত রোড এর কলকাতা কাচ্চি ঘর ।

২৫. রায় সাহেব বাজারের বিউটি লাচ্ছি আর চকবাজারের নুরানী শরবত।

২৬. গেন্ডারিয়ার সোনা মিয়ার দই।

২৭. লালবাগ মোড় এর মীরা মিয়ার চিকেন ফ্রাই আর গরুর শিক।

২৮. লালবাগ চৌরাস্তার খেতাপুরি।

২৯. মতিঝিল শাপলা চত্বর হিরাঝিলের চা।

৩০. নাজিরা বাজারের ডালরুটি ।

৩১. গেন্ডারিয়া ভাটিখানার হাসেম বাঙ্গালির ডালপুরি ।

৩২. রায়সাহেব বাজারের আল ইসলামের মোরগ পোলাও, চিকেন টিক্কা।

৩৩. বাংলাবাজারের বিখ্যাত কাফে কর্নার এর কাকলেট ও চপ।

৩৪. বাংলাবাজারের বিখ্যাত চৌরঙ্গী হোটেলের পরাটা, ডাল ।

৩৫. রায়সাহেব বাজারে কাফে ইউসুফের নান ও চিকেন টিক্কা ।

৩৬. নবাব পুরের মরণ চাঁদ মিষ্টির দোকানের ভাজি-পরোটা, মিষ্টি ও টক দই ।

৩৭. লক্ষীবাজার এর মাসহুর সুইটমিট এর লুচি, ভাজি আর ডাল।

৩৮. লালবাগের পাক-পাঞ্জাতন এর মজার তেহারি ।

৩৯. দয়াগঞ্জ এর ঢাকা কাবাব ।

৪০. ওয়াইজ ঘাটের নানা রেঁস্তোরা ।

৪১. শাখারী বাজারের অমূল্য সুইটস এর পরোটা-ভাজি ।

৪২. তাতিবাজারের কাশ্মীর এর কাচ্চি।

৪৩. নারিন্দায় সৌরভ এর মাঠা আর ছানা ।

৪৪. আবুল হাসনাত রোডের কলকাতা কাচ্চি ঘর।

৪৫. আবুল হাসনাত রোডের দয়াল সুইটস এর মিষ্টি।

৪৬. নারিন্দায় অবস্থিত রাসেল হোটেলের নাশতা ।

৪৭. ঠাটারী বাজারের বটতলার কাবাব ।

৪৮. টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত হোটেল খান এর টাকি মাছের পুরি।

৪৯. লক্ষীবাজার পাতলাখান লেনের লুচি-ভাজি ।

৫০. বেচারাম দেউড়িতে হাজী ইমাম এর বিরিয়ানি ।

Post a Comment

Thenks for your comments.

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget