ছেলেরা ঘুমানোর আগে যেভাবে Skin এর যত্ন নেবেন। আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততম
জীবনে পুরুষদের ত্বকের যত্ন নেয়া হয় না। দিনভর কাজ, ধুলাবালি, রাস্তার কালো ধোয়া, রোদের তাপ সব শেষে বাসায় ফিরে আয়নার নিজের
চেহারা দেখে অবাক হওয়াটা শুধু বাকি থাকে। মুখে কালো ছোপ আর ধুলাবালিতে চেহারার
উজ্জ্বলতা কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে।
প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে শসা
খুব উপকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার আগে শসার টুকরো
দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক অনেক
পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া শসার রস ত্বকে প্রাকিতিক মশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।
এক চামচ
কাঁচা হলুদের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে সম্পূর্ণ মুখে ভালোভাবে
লাগিয়ে নিন। কাঁচা হলুদ ত্বকের কোমলতা ধরে রাখে এবং কাঁচা দুধ স্কিনের কমপ্লেকশনকে আরো ফর্সা করতে
সাহায্য করে।
এলোভেরার জেলোতে প্রচুর পরিমাণে
আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফাটা ত্বক সারিয়ে তুলতে অনেক উপকারী। সপ্তাহে ১ থেকে ২
দিন এলোভেরা জেলো মুখে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বকের মৃত
কোষগুলো বের করে ত্বককে আরো উজ্জ্বল করে তোলে।
স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বক
এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ত্বক
উপযোগী ক্লিনজিং জেল বা ফোম ব্যবহার করা উচিত। ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে। ক্লিনজার
নিয়ে হালকাভাবে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তারপর ভেজা তুলা দিয়ে মুছে ফেলুন।
ভেজা তুলা ব্যবহার করলে ত্বকের ময়েশ্চার বজায় থাকবে ভালোভাবে।
ক্লিনজিংয়ের (Cleanser) পর জরুরি টোনিং (Toning)। ভিজা তুলা দিয়ে স্কিন টোনার লাগান। টোনারের বদলে গোলাপ পানিও ব্যবহার
করতে পারেন। টোনিংয়ের পর রিশিং ক্রিম বা পাইট ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজ করুন। ত্বক যদি
বেশি শুষ্ক প্রকৃতির হলে ক্রিম লাগানোর পর হালকা ময়েশ্চারাইজিং লোশন ( Moisturising lotion) লাগাতে পারেন, না হলে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর দরকার নেই।
সেনসেটিভ ত্বক
ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে মেডিকেটেড সোপ
বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। ত্বকের অতিরিক্ত তেল সরিয়ে আপনার ত্বককে ফ্রেস
রাখবে। এছাড়া ব্রণ কমাতে চন্দনবাটা সারারাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। স্যালাইসিলিক
অ্যাসিডসমৃদ্ধ ক্রিম লাগাতে পারেন। তবে এতে ত্বকে টানভাব দেখা যেতে পারে। সে
ক্ষেত্রে পুরো মুখে অ্যালোভেরা জেল হালকা করে লাগাতে পারেন। ক্লে মাক্সও লাগাতে
পারেন। খুব ঠাণ্ডা বা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত নয়। মুখ পরিষ্কার করার পর ভালো
করে পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। বিশেষ করে ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির হলে মুখ ভালো করে
পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। ত্বক শুষ্ক ধরনের হলে অ্যালোভেরা, লেবুসমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করবেন না। এছাড়া
ত্বকে ব্রণ থাকলে লেবু জাতীয় কিছু সরাসরি না লাগানোই ভালো।
তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বক
এ ধরনের ত্বকের জন্য ভালো ক্লিনজিং লোশন
বা ক্লিনজিং মিল্ক (Cleansing
Milk) মুখে
ভালোভাবে লাগানোর পর ভিজা তুলা দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। সাবানবিহীন ক্লিনজার বা
ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। সাবানের মতো ফেসওয়াশ হাতে নিয়ে মুখে লাগাবেন। তারপর
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর টোনার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লাগান। তৈলাক্ত ত্বকে নারিশিং ক্রিম
ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে এবং রোমকূপ বন্ধ
হয়ে যেতে পারে। হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। মিশ্র প্রকৃতির ত্বকের শুষ্ক
অংশে নারিশিং ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
Post a Comment
Thenks for your comments.