গত এক যুগের বেশি সময় ধরে অভিনয়জগতে আছেন, নিজেকে প্রমাণ করে অর্জন করেছেন জনপ্রিয়তা। তিনি সুমাইয়া শিমু।
মজার ব্যাপার হলো, এই অভিনেত্রী প্রথম যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন নাকি তাকে পুতুলের মতো লেগেছিল।
এক সাক্ষাৎকারে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাসহ জীবনের প্রথম অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা বলেছেন সুমাইয়া শিমু।
প্রথম স্কুল: নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রথম শিক্ষক: আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন উমা পিসি। নড়াইলে আমরা যখন ছিলাম, তিনি আমাদের বাসার পাশেই থাকতেন। আমাকে পড়াতেন। খুব বেশি ভালো স্টুডেন্ট আমি ছিলাম না। কিন্তু আমার রেজাল্ট কখনো খুব খারাপ হয়নি। ছোটবেলায় সবাই যেমন পড়ার জন্য বকা শোনে, আমার বেলাও তাই হয়েছে।
প্রথম অভিনীত নাটক: নাটকের নাম ছিল ‘এখানে আতর পাওয়া যায়’। অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত নাটকটিতে আমার সহশিল্পী ছিলেন ডলি জহুর, আফসানা মিমি, শামস সুমন প্রমুখ। সম্ভবত ১৯৯৮ সালে নাটকটির শুটিং হয়েছিল।
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা: আমি খুব বেশি নার্ভাস ছিলাম। তখন বয়সও অনেক কম ছিল। সব মিলিয়ে একটু ভয় কাজ করেছিল। কিছুদিন আগে ইউটিউবে নাটকটি আমি দেখেছি। মজার ব্যাপার হলো, অভিনয়ের আগে আমি তো ভীষণ নার্ভাস ছিলাম, অথচ ক্যামেরায় আমার নার্ভাসনেস একদম ধরা পড়েনি। অনেক দিন পর ইউটিউবে নিজের নাটক দেখে ভালো লেগেছিল।
প্রথম পারিশ্রমিক: বাংলাদেশ বেতারে বাচ্চাদের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমাকে সম্মানী হিসেবে ২০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তখন আমি ক্লাস টুতে পড়ি। টাকাটা দিয়ে কী করেছিলাম, এখন সেটা একদম মনে নেই। আর পঞ্চম শ্রেণিতে আমি একটা স্কলারশিপ পেয়েছিলাম।
প্রথম প্রেম: বিয়ের পরেই আমার প্রথম প্রেম হয়েছিল। এটা হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবে না। কিন্তু কথাটা একদম সত্যি বললাম। আমার বরকে নিয়ে আমি অনেক ভালো আছি।
প্রথম পড়া বই: বইটার নাম ছিল ‘চিতা’। বইটিতে বাঘের ছবি ছিল। ছোটবেলায় খুব আনন্দ নিয়ে বইটি পড়েছি।
প্রথম শাড়ি পরা: স্কুলে একটা নাচের অনুষ্ঠানে প্রথম শাড়ি পরেছিলাম। ছোটবেলায় আমি গান-নাচ সবই করেছি।
সূত্র: এনটিভি
Post a Comment
Thenks for your comments.