Halloween Costume ideas 2015

Behiond The Seen of Bangladesh

সুযোগ না পেয়েও ৫০ টেস্ট খেলা বড় মাইলস্টোন: মুশফিক


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেই নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশফিকুর রহিম। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই টেস্টে ৫০ ম্যাচ পূর্ণ হবে মুশফিকের।

বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চাশ কিংবা তার বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটার মাত্র দুইজন। তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবেই এ মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন মুশফিক।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১টি টেস্ট খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। হাবিবুল বাশার সুমন খেলেছেন ৫০ ম্যাচ। খালেদ মাসুদ পাইলট খেলেছেন ৪৪ ম্যাচ। সমান ৪৩টি করে ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।

এমন মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়েও মুশফিকের কণ্ঠে বেশি টেস্ট খেলতে না পারার অাক্ষেপ। মুশফিক বলেন, '৫০ টেস্ট মানে অনেক বড় ব্যাপার। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে আমরা তো খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগই পাই না'। সেদিক থেকে ৫০ টেস্ট খেলা মানে অনেক বড় মাইলস্টোন। ভালো লাগবে এই টেস্টে যদি ভালো কিছু করতে পারি, আরও ভালো লাগবে দল ভালো কিছু করলে।

ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে যেদিন সবচেয়ে মর্যাদার এ লড়াইয়ে অভিষেক হলো মুশফিকের সেদিন মুশফিকের বয়স ১৭ বছর ৩৫১ দিন! অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই মাঠে এত কম বয়সে অভিষেক হয়নি আর কোনো ক্রিকেটারের, রেকর্ডটি টিকে আছে এখনও।

দেখলে তখন মুশফিকের বয়স মনে হতো আরও কম। ইংলিশ ধারাভাষ্যকাররা সে সময় 'বেবিফেস' কথাটি বলেছেন বারবার। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় এক যুগ। চেহারায় কৈশোরের ছাপ আছে এখনও। তবে পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বের ভারে তিনিই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় নাম। অভিষেকে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই খেলতে নামছেন ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট।

পেছন ফিরে তাকিয়ে, শুরুর দিনগুলিতে ফিরে গিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন মুশফিক, 'আমার শুরু টেস্ট দিয়ে'। টেস্টের প্রতি ভালোবাসাটাও ছিল আগে থেকে। সবসময়ই চাইতাম অনেক অনেক টেস্ট খেলতে। স্বপ্ন তাই অনেক ছিল। তবে শুরুতে তো আর কেউ ভাবতে পারে না এতদূর আসবে! আর আমাদের টেস্ট খেলার সুযোগই আসে কম।
'ভালো লাগছে যে আজকে পর্যায়ে আসতে পারছি'। আমাদের মাত্র দুজন ক্রিকেটার আগে পঞ্চাশ টেস্ট খেলতে পেরেছেন। নিজেকে অবশ্যই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে'।

এই পর্যায় আসার পথচলাটা খুব মসৃণ ছিল না। অভিষেকে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে ১৯ ও ৩ রান করে হারিয়েছিলেন জায়গা। আবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেন পরের বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নিজ শহর বগুড়ায় সেই টেস্টে ২ ও ০ করার পর আবার বাদ।

আরেকটি টেস্ট খেলার জন্য আবার অপেক্ষা ১৬ মাসের। এবার শ্রীলঙ্কা সফর। প্রথম টেস্টেও একাদশের বাইরে ছিলেন। বিবর্ণ খালেদ মাসুদের জায়গায় সুযোগ মিলল সফরের দ্বিতীয় টেস্টে। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথমবার। কলম্বোর পি সারা ওভালে সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মুশফিককে।

২০০৭ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশের সবকটি টেস্ট (৪৭টি) খেলেছেন একমাত্র মুশফিকই। মিরপুর টেস্টের পর এ বছর বাংলাদেশের আর টেস্ট নেই। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর থাকছে ১১টি টেস্ট। বাংলাদেশের হয়ে আশরাফুলের ৬১ টেস্ট খেলার রেকর্ড তাই স্পর্শ করতে পারেন আগামী বছরই। বয়স কেবলই ২৯। আশরাফুলকে ছাড়িয়েও এগিয়ে যেতে পারেন অনেক দূর।

Post a Comment

Thenks for your comments.

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget