মুশফিকের বরিশাল বুলসের ১৪৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে সাকিবের ঢাকা ডায়ানামাইটস। দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ এবং কুমার সাঙ্গাকারার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় ঢাকাকে।
তারই সুবাদে ২৪ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে ঢাকা ডায়ানামাইটস।
নবম ওভারে তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ২৪ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন শ্রিলংকান লিজেন্ড সাঙ্গাকারা। এরপর আরো ক্ষুরধার হয় মেহেদি মারুফের ব্যাট। ম্যাচের শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৪৫ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মেহেদী মারুফের সাথে সর্বশেষ যোগ দেয়া মোসাদ্দেক হুসাইন ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
সাঙ্গাকারা আউট হলে ব্যাটিংয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২৩ বলে ২০ রান করে ১৫তম ওভারের শেষ বলে মনির হুসাইনের বলে আউট হন সাকিব।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে মুশফিকের বরিশাল বুলস। মুশফিক এবং নাফিস দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
প্রথম ৮ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলো বরিশাল বুলস। এরপর শাহরিয়ার নাফিস এবং মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় ১৪৮ রান।
৩৪ বলে ৫৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে মোহাম্মাদ শহিদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান নাফিস। অপর দিকে ৩৬ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। তার সাথে ব্যাটিংয়ে যোগ দিয়ে মাত্র ৬ বলে ৩ রান নিয়ে আউট হন থিসারা পেরেরা। এরপর এমরিট ১ রান করে ফিরলে ব্যাটে নামে মেহেদি হাসান।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার দলপতি সাকিব আল হাসান। বরিশালের হয়ে ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করতে আসেন শামসুর রহমান এবং দিলশান মুনাবেরা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ শহীদের লাফিয়ে উঠা বলের লাইন মিস করেন ওপেনার শামসুর রহমান। স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদি মারুফের হাতে ধরা পড়ার আগে শামসুর রহমান করেন ১০ বলে ৬ রান। দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মুনাবেরাকে ফেরান আন্দ্রে রাসেল। পয়েন্টে নাসির হোসেনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে বিদায় নেন ১২ রান করা মুনাবেরা। দলীয় ২৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিক এবং ডেভিড মালন। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাকিবের ঘূর্ণিতে ব্রাভোর হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ রান করা মালন। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় বরিশালের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।
Post a Comment
Thenks for your comments.